কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার নতুন করে সৃষ্টি হওয়া সামরিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—এই পরিস্থিতিকে যেন কেউ আরও ঘোলাটে না করে।”
ভারতের পক্ষ থেকে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তান দায় অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে মুখপাত্র ব্রুস জানান, “আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি পাকিস্তানের সহায়তায় আইএস সংশ্লিষ্ট এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। ব্রুস বলেন, “ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, আমরা তা গভীরভাবে প্রশংসা করেছি।”
তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা বা মার্কিন কংগ্রেসে এ নিয়ে যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ব্রুস।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে মুখপাত্র বলেন, “বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সংলাপ নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাসে কাজ করা।”
একুশে সংবাদ//যু//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :