রাশিয়ার দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার মাঝসমুদ্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ তেল বের হচ্ছে। সমুদ্রের পানিতে ভেসে সেই তেল ক্রিমিয়ার সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এতে দেখা দিয়েছে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভলগনেফ্ট ২১২ এবং ভলগনেফ্ট ২৩৯ নামের ট্যাঙ্কার দুটি সব মিলিয়ে ৯ হাজার ২০০ টন তেল বহন করছিল। গত মাসে সমুদ্রে একটি ঝড়ের মুখে পড়েছিল জাহাজ দুটি, তখনই এগুলো বিকল হয়ে যায়।
এখন পর্যন্ত বিকল জাহাজ থেকে তেল অন্য জাহাজে স্থানান্তরিত করা যায়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, একটি বড় স্বেচ্ছাসেবক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা তারা পর্যালোচনা করে দেখবে। সমুদ্র থেকে তেল পরিষ্কার না করলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক জলজ প্রাণীদের উদ্ধারের কাজে নেমেছেন এমন তথ্য রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। পরিষ্কার করার চেষ্টা হচ্ছে বালিও। এরইমধ্যে ৭৩ হাজার টন বালি সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। তবে প্রায় দুই লাখ টন বালির মধ্যে তেল মিশে গেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
জাহাজ দুটি বেশ পুরোনো বলে উল্লেখ করেন তদন্তকারী সংস্থা। তাই কোনো ধরণের যান্ত্রিকত্রুটি রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছেন তারা।
ইউক্রেনের অভিযোগ, একুশ শতকে কৃষ্ণসাগরে এত বড় বিপর্যয় ঘটেনি। রাশিয়া এখনও পুরোনো জাহাজ ব্যবহার করছে বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
একুশে সংবাদ/ এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

