AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘৃণিত অপরাধে দণ্ডিত হলেন প্রবাসী বাংলাদেশি, দেশজুড়ে ধিক্কার


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭:০৭ পিএম, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঘৃণিত অপরাধে দণ্ডিত হলেন প্রবাসী বাংলাদেশি, দেশজুড়ে ধিক্কার

পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন এস.কে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছন গ্রিসের একটি আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঘোষিত এই রায় গ্রিসের সংবাদমাধ্যমসহ বাসিন্দাদের ব্যাপক নাড়া দিয়েছ। গ্রিসের কস দ্বীপে সংঘটিত এ ঘৃণিত ঘটনার মামলাটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

পোল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভিএন-২৪ গ্রিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।  সালাহউদ্দিন এস‍‍`র বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন মামলার কৌঁসুলি। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবনের দণ্ডাদেশ দেন।

পোল্যান্ডের তরুণী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তবে তার আবেদন আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এদিকে নিহত পোলিশ নারীর বাবা পোলিশ গণমাধ্যম ভার্চুয়ালনা পোলাস্কাকে জানিয়েছেন, এই রায় এখনো চূড়ান্ত নয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারণ মামলার কাগজপত্রের কিছু অংশ ২ ডিসেম্বরেই বিবাদীপক্ষের হাতে পৌঁছায়। কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন ২৭ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোনো এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা।

আনাস্তাসিয়া তার প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি।

মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, সালাহউদ্দিন ইতালিতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার ফন্দি এঁটেছিলেন। ডেভিড বুরজাকি বলেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, ‍‍`মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মুছে ফেলা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়।‍‍` গ্রেপ্তারের পর আসামি তার অপরাধ অস্বীকার করেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণীর মরদেহ একটি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খুঁজে পান। কস দ্বীপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সল্ট লেকের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ডালপালার নিচে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় মরদেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!