গতকাল শুক্রবার রাতে শক্তিশালী সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানার পর আকাশের রঙ বদলে যেতে দেখা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আকাশে দেখা গেছে নর্দার্ন লাইটস। এ সময় আকাশের রঙ বদলে হয়ে যায় সবুজ ও গোলাপী। একে অরোরা বোরিয়ালিসও বলা হয়ে থাকে।
শুক্রবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আকাশে এই রহস্যময় আলো দেখা যায়। এ ছাড়া আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার রাতের আকাশেও দেখা যায় এই নর্দার্ন লাইটস।
লন্ডন ও অন্টারিও থেকে অনেকে এই নর্দার্ন লাইটসের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীতে আঘাত হানা এটি সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। এর কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে, ঠিক সেই সময়ে এইরকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চৌম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি সৌরঝড়ে পরিণত হয়।
স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস ও পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) এবং সোলার ফ্লেয়ার সূর্যের মধ্যে ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা দেখা গেছে।
সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এদিকে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :