রাশিয়ার শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে আতঙ্কে ভবন থেকে প্রায় ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। খবর আরটি`র
স্থানীয় সময় শনিবার (২ মার্চ) এই হামলা হয়।
সেন্ট পিটার্সবার্গ রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর। এ শহর ঘিরে আছে দেশটির বহু ইতিহাস-ঐতিহ্য। এখানে রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্ম। সোভিয়েত ইউনিয়নে এই শহরের নাম ছিল `লেনিনগ্রাদ`, যা দেশটির বিখ্যাত নেতা লেনিনের নামে করা হয়েছিল।
মেয়র আলেকজান্ডার বেগলোভ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফনতাঙ্কা জানিয়েছে, শহরের উত্তরাঞ্চলে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে একটি আবাসিক ভবনের সম্মুখভাগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ড্রোন হামলা কিনা- সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র আলেকজান্ডার বেগলোভ প্রথমে বলতে রাজি হননি। তবে পরে ন্যাশনাল গার্ডের স্থানীয় বিভাগ জানায়, ড্রোনের আঘাতে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ভবন থেকে প্রায় ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ হেলথ কমিটির প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনার পর ছয়জন ব্যক্তি চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছেন।
ঘটনাস্থলের ভিডিওতে ধ্বংসস্তূপে ভরা একটি উঠান দেখা গেছে। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
আরেক ভিডিওতে ড্রোনটি যখন ভবনে আঘাত হানে, মুহূর্তটি দেখানো হয়েছে। প্রথমে একটি ইঞ্জিনের শব্দ শোনা যায়, তারপর বিকট শব্দ হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ধারণা করছে, ড্রোনটি সম্ভবত নিকটবর্তী কোনো তেল স্থাপনার দিকে যাচ্ছিল, যা বিস্ফোরণ স্থান থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্ভাব্য আরও আক্রমণ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। এই অঞ্চলের সমস্ত যোগাযোগ অবরুদ্ধ করা হয়েছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গ এলাকায় দুটি ড্রোন দেখা গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে- শহরের পূর্বাঞ্চলে ভেসেভলঝস্কি জেলায় আরেকটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরটি যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলো সম্প্রতি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা ওই এলাকায় ইউক্রেনের চালকবিহীন একটি যান আটক করেছে।
একুশে সংবাদ/ই.ফ.প্র/জাহা
 
    
                        

                                            
                                                        
                            
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
												
												
												
												
												
												
												
												
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
                                            
