শোবিজ অঙ্গনের নারীরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলে অনেক সময়ই প্রশ্ন ওঠে— তাদের পেছনে কি কোনো ‘সুগার ড্যাডি’ বা প্রভাবশালী পুরুষ আছেন? এই সামাজিক ধারণা নতুন নয়, এবং সময়-সময় নায়িকাদের মুখোমুখি হতে হয় এমন ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্নের। এ অভিজ্ঞতা থেকে বাদ পড়েননি অভিনেত্রী কুসুম শিকদারও।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে ব্যক্তিগত জীবন ও শিল্পীজীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সঞ্চালকের এক সরাসরি প্রশ্নে খানিকটা বিস্মিত হন তিনি— “তুমি কি সুগার মামি হতে চাও?”

কুসুম হেসেই জবাব দেন, “একসময় ইন্টারভিউতে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল— নাকি আমার অনেক সুগার ড্যাডি আছে! তখনই বলেছিলাম, এসবের সময়টাই বা কোথায়? এখন হলে বরং সুগার মামি হওয়ার বয়স!”
পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো খুবই হাস্যকর কথাবার্তা। যারা আমাকে চেনেন না, তারা পোশাক-গয়না বা ঘড়ি দেখে নিজেরাই একটা ধারণা করে নেন। মনে করেন— নিশ্চয়ই কেউ পেছনে আছে!”

তিনি জানান, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। “আমি ২১ বছর বয়স থেকে উপার্জন করছি। ২৩-২৫ বছরের কর্মজীবনে কিছু অর্থ থাকা তো স্বাভাবিক। না থাকলেই বরং অদ্ভুত লাগত,” বলেন কুসুম।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমা— সব মাধ্যমেই সমান দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। লাল টিপ, গহীনে শব্দ, শঙ্খচিল— এসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার উপস্থিতি দারুণ সক্রিয়; নতুন সাজ বা ভিন্ন লুকে এলেই ভক্তরা মুগ্ধ হন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

