মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে। আগামীকাল শুক্রবার চূড়ান্ত বিজয়ী বেছে নেওয়া হবে। তবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল ঘোষণার ঠিক তিন দিন আগে দুই বিচারক পদত্যাগ করেছেন। তাদের একজন প্রতিযোগিতার নির্বাচনপ্রক্রিয়া অস্বচ্ছ বলে অভিযোগ তুলেছেন।
মঙ্গলবার লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ আট সদস্যের জুরিবোর্ড থেকে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ওমর হারফুশ ইনস্টাগ্রামে দেওয়া ঘোষণা পোস্টে তিনি দাবি করেন, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থেকেই একটি ‘জুরি দল’ফাইনালিস্ট বেছে রেখেছে। হারফুশের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পরই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মাকেলেলে। তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেন তিনি।
সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ লেখেন, ১৩৬ দেশের প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জন ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক জুরিবোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমাদের আসল আট সদস্যের জুরির কেউই উপস্থিত ছিলেন না, আমিও না। আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনে হতবাক হয়েছি।
তিনি দাবি করেন, অনানুষ্ঠানিক কমিটিতে এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন, যাদের কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তবে এ অনানুষ্ঠানিক জুরি কীভাবে কাজ করছেন বা কীভাবে তারা আসল জুরির ভূমিকা অকার্যকর করছেন, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করেননি হারফুশ ।
তবে তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, কোনো বাইরের দলকে প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন বা ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
সংগঠনের মতে, হারফুশ হয়তো ‘বিয়ন্ড দ্য ক্রাউন’ নামে একটি কর্মসূচিকে অনানুষ্ঠানিক জুরি ভেবে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন। এটি মূল প্রতিযোগিতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি সামাজিক উদ্যোগ। এর নিজস্ব নির্বাচন কমিটি রয়েছে।
অন্যদিকে মাকেলেলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে লেখেন, এটি তার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত। মিস ইউনিভার্স প্ল্যাটফর্ম ক্ষমতায়ন, বৈচিত্র্য ও উৎকর্ষের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মূল্যবোধ আমি সব সময় লালন করেছি।

চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিযোগিতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। থাইল্যান্ডের আয়োজক কমিটির পরিচালক নাওয়াত ইটসারাগ্রিসিল একটি প্রাক্-ইভেন্টে মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশকে প্রকাশ্যে জানান, কেন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণামূলক কনটেন্ট পোস্ট করছেন না। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে দেখা যায়, বোশসহ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ নাওয়াতের দিকে চিৎকারও করছিলেন। পরবর্তী সময়ে নাওয়াত দাবি করেন যে তার কথার কিছু অংশ ভুলভাবে বোঝা হয়েছে। তবু তার আচরণে ক্ষুব্ধ হয় মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

