AB Bank
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবজির ভরা মৌসুমেও অস্বস্তিতে ক্রেতারা


Ekushey Sangbad
জাহাঙ্গীর আলম
০২:৪৩ পিএম, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪
সবজির ভরা মৌসুমেও অস্বস্তিতে ক্রেতারা

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজি লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে রমজান আসতে বাকি আরও দুমাস। এর মধ্যেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বেড়ে গেছে চাল, ছোলা, ডাল, বেসন, মাছ, মাংস ও খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এখনই এ অবস্থা হলে, রোজার সময় সব নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর, রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।

বিক্রেতারা জানান, রোজার আগেই দাম বেড়েছে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের। মূলত আড়তদার ও  মিল মালিকদের কারসাজিতে বাড়ছে দাম। আর ক্রেতাদের মতে, সিন্ডিকেট করে রোজার আগেই বাজার অস্থির করে তুলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৭০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৩০-৫০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০-১১০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা। স্থানভেদে ফার্মের মুরগী কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েচ স্থানভেদে ৩০০ থেকে ৩৩০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পলাশ হোসাইন নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজার বাকি এখনও দুমাস। অথচ এখনই অস্থির হয়ে ওঠেছে বাজার। বিদ্যমান সিন্ডিকেট ভাঙতে  না পারলে রোজার সময় সব পণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে।

প্রত্যয় নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, নতুন বছরে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকার চাইলে রোজার সময় নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে পারে। এজন্য দরকার কেবল কঠোর নজরদারি।

সাইফুল নামে কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আড়তদার ও মিল মালিকরা সিন্ডকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। বাড়তি দামে পণ্য কেনায়, বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে গরিব মানুষের কিছুটা কষ্ট হলেও, খুচরা ব্যবসায়ীরা নিরুপায়।


একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা

Link copied!