খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা ও প্রতি লিটার পামঅয়েলের দাম লিটারে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা করা হয়েছে। নতুন এই দাম আজ থেকে কার্যকর করা হবে। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরো এক দফা ভোজ্যতেলের দাম কমানো হবে বলেও জানান তিনি৷
রোববার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের ৭ম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা করা হয়েছে। যা আগে প্রতিলিটার ১৯৯ টাকা ও ১৭৭ টাকা ছিলো। আর খোলা পাম তেল প্রতিলিটার ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা এবং বোতলজাত সুপার পাম তেল লিটারে ১৬৭ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬৫ টাকা করা হয়েছে। নতুন এই দাম আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে কার্যকর হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতির দিকে সেজন্য ১৫ দিন পর ভোজ্যতেলের দাম আরো কমানো যায় কিনা সেটা চেষ্টা করা হবে।
এরআগে গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
এরাগে ১৭ নভেম্বর প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে একলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৯২৫ টাকা, খোলা প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭২ টাকা এবং প্রতিলিটার পাম ওয়েলের দাম ১২১ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন, আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা