জামালপুরের ইসলামপুরে এবার শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ইসলামপুরের শসা এখন আর শুধুই স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নেই—ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রবি মৌসুমে ২২০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ৩৫ টন ধরে এ মৌসুমে প্রায় ৯ হাজার টন শসা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে শসার বাম্পার ফলন লক্ষ করা গেছে।
চর পুটিমারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল আলী বলেন, “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। মাঠ থেকে প্রতি কেজি শসা ২৫–৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮–১০ টাকা বেশি।”
ওই ইউনিয়নের সাজেলের চর বাজারের ব্যবসায়ী মাওলানা হযরত আলী মিলন জানান, “এখানে শসার বড় বাজার গড়ে ওঠায় লেনদেন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন।”
স্থানীয় শসা ব্যবসায়ী আশরাফ মোল্লা ও শাহিন মিয়া জানান, “আগে আমরা শুধু স্থানীয় বাজারেই বিক্রি করতাম। এখন কৃষকদের কাছ থেকে শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছি। এতে কৃষকসহ আমরা নিজেরাও লাভবান হচ্ছি, পাশাপাশি বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।”
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, খরিফ-২ মৌসুমে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছিল, যেখানে হেক্টরপ্রতি ৩০–৩৫ টন ফলন পাওয়া গেছে। রবি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ২২০ হেক্টরে, যা থেকে প্রায় ৯ হাজার টন শসা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ফলন বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে ইসলামপুরের শসার উল্লেখযোগ্য যোগান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে শসা বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

