AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:৪৯ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান

তিন দফা দাবিতে দেশজুড়ে তিন দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এতে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না মিলায় এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) শুরু হওয়া কর্মবিরতি চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে জানান, সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড প্রদান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূরকরণ—এই তিন দফা দাবিতে তারা বহুদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কোনো বাস্তব অগ্রগতি না থাকায় বাধ্য হয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টানা তিন দিনের কর্মবিরতির পরও অগ্রগতি না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শাহীনূর আক্তার এক পৃথক বিবৃতিতে জানান, ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

সংগঠনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, তিন দফা দাবি পূরণ না হলে আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন শুরু হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি নিয়েই ১০ম গ্রেড পান। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড ও বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনও ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!