AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উলিপুরে মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন



উলিপুরে মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রতারণার অভিযোগে চিহ্নিত মানব পাচারকারী মমিনুল ইসলাম বাবলুকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট (গবা মোড়) এলাকায় ভুক্তভোগীরা এই মানববন্ধন করেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনের সময় বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগীরা—আব্দুল মজিদ মন্ডল, মহন্ত বর্মন, দুলাল হোসেন, মোজাফফর রহমান, আব্দুল কাদের সরকার প্রমুখ।

ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মমিনুল ইসলাম বাবলু দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর কথা বলে সাধারণ মানুষদের প্রভাবিত করেন। তিনি ফুসলিয়ে ১২ জনের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া আরও অর্থ আদায়ের জন্য ফাঁকা স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেন। পরে জাল পাসপোর্ট ও জাল কোরিয়ান ভিসা তৈরি করে ভুক্তভোগীদের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর পর্যটক ভিসায় নেপাল পাঠিয়ে আরও প্রতারণা চালান।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, টাকা ফেরত না দিলে বাবলু তাদের দেওয়া ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে ইচ্ছামতো অঙ্ক বসিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। এসব মামলায় বহু মানুষ হয়রানির শিকার হন এবং কেউ কেউ জেলও খাটেন। তার সহযোগী হিসেবে আবু বক্কর সিদ্দিক, মিঠু ও মঞ্জুসহ কয়েকজন একই প্রতারণায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বাবলুর প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ জন।

ভুক্তভোগীরা জানান, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বাবলুর বিরুদ্ধে উলিপুর আমলী আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এরপর ২১ এপ্রিল বিষয়টি তদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়। তবে সাত মাস পেরিয়ে গেলেও উলিপুর থানা এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি, যা তাদের হতাশ করেছে।

মমিনুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সঠিক নয় এবং ইতিমধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান, পরবর্তী কার্য দিবসে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!