শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা দিতে রাজি না হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার বিকেল আড়াইটার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই নকলা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) ও তাঁর সহযোগী ফজলু (৩২) কে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চান, আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা বলেন, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য—রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানাই। পরে রাহাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সহকারী ফজলুকে নিয়ে আমাকে অফিসের ভেতরেই মারধর করে। পরে আমি চিৎকার করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

