AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিরাজগঞ্জে মানবপাচার মামলায় এক নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০৪:৫১ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জে মানবপাচার মামলায় এক নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় দায়ের করা মানবপাচার মামলায় এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও পাঁচ আসামিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামি মোছাঃ আলপনা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আদালত আদেশ দিয়েছেন জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে আসামির বর্তমান বা ভবিষ্যতের সম্পদ থেকেও অর্থ আদায়যোগ্য হবে।

মামলার অপর আসামি মোছাঃ ছায়রন বেওয়া, মোছাঃ মিনা খাতুন, মোছাঃ মায়া খাতুন ও মোঃ রবিউল ইসলাম আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আদালত তাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ৭/৮/১০(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদী মোঃ মাজেদ আলী উল্লেখ করেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাতে তার স্ত্রী মোছাঃ সবিতা খাতুন প্রসব বেদনায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতাল, হাটিকুমরুলে ভর্তি হন। পরদিন সকালে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেন।

ঐদিন বিকেলে এক অজ্ঞাত নারী বোরখা পরে হাসপাতালে প্রবেশ করে নবজাতককে কোলে নিয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। পরে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ ও সলঙ্গা থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে জানতে পারে, ওই নারী নবজাতকসহ আলোকদিয়া গ্রামের দিকে গেছে। সলঙ্গা থানা পুলিশ আলোকদিয়া গ্রামের ছায়রন বেওয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করে। একই স্থান থেকে মৃত অবস্থায় আরও একটি নবজাতক উদ্ধার করা হয়, যা ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হয়েছিল বলে শনাক্ত হয়।

গ্রেফতারকৃতরা শিশু চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের মার্চে মানবপাচার ০৩/২০২১ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন রায়ে বলেন, “মানবিকতার পরিপন্থী এ ধরনের অপরাধ সমাজে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। শিশু চুরি ও পাচার একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। আদালত এ ধরনের অপরাধে শূন্য সহনশীলতা অবলম্বন করবে।” তিনি আরও বলেন, আসামি আলপনা খাতুনের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সাক্ষ্য, আলামত ও তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ সিরাজগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছেন। একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, যা মামলার প্রমাণকে আরও দৃঢ় করেছে। আদালতের এই রায় মানবপাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!