মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বাজারে নতুন উদ্যোগের ফলে প্রাণ ফিরেছে, আর স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে নির্মিত দোকানকোটা থেকে পৌরসভা মাসিক ভাড়া আদায় করতে পারবে, যা রাজস্ব বৃদ্ধি করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মাখন চন্দ্র সূত্রধরের নেতৃত্বে নানামুখী উন্নয়নের কাজগুলো দ্রুত এগুচ্ছে। কমলগঞ্জ পৌরসভা সূত্র জানায়, ভানুগাছ বাজারে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নালার উপর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্ল্যাবসহ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। পৌর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই জায়গায় সেলামির ভিত্তিতে সেমিপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করলে জায়গাটি সুরক্ষিত হবে এবং পৌরসভার রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
তবে, কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমকে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। কাজী মামুনুর রশীদ, আবু তালেব, আরমান হোসেন দুলন প্রমুখ জানান, “নিজ অর্থায়নে নির্মিত দোকানকোটা থেকে পৌরসভা ভাড়া গ্রহণ করবে, যা সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াবে।”
ভানুগাছ বাজার পৌর বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সফি বলেন, “স্থানীয় উদ্যোক্তা ও বণিক সমিতির সহায়তায় নির্মিত দোকানঘর ও ঘরগুলো বাজারের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। পৌর প্রশাসক নাগরিক সমস্যা দ্রুত সমাধান করছেন, যা মানুষের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে।”
কমলগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বেলাল আহম্মদ বলেন, “বাজারে ঘর ও দোকান কোটা নির্মাণের ফলে পুরোনো অব্যবস্থাপনা দূর হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পৌরসভা নতুন রাজস্ব উৎস তৈরি করতে সক্ষম হবে।”
পৌরসভার সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে অনুমোদিত বিধি অনুযায়ী এই প্রকল্পগুলো পরিচালিত হচ্ছে, যা কমলগঞ্জ পৌরসভার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
একুশে সংবাদ // র.ন