গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর ভবনের সামনে সড়কের মাঝখানে স্থাপিত একটি বিদ্যুতের খুঁটি যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর প্রশাসকের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ওই সড়ক দিয়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে। সে কারণে এলাকাবাসী খুঁটিটিকে ‘বেরসিক বিদ্যুতের খুঁটি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইলিয়াস ফকির বলেন, “আজ থেকে পাঁচ বছর আগে পৌর ভবনের সামনে এই সড়কের পাশে ড্রেন ছিল না। দুই বছর আগে সড়কের পূর্ব পাশে ড্রেন নির্মাণের কারণে প্রায় সাড়ে তিন ফুট জায়গা কমে গেছে। ফলে সড়কের পশ্চিম পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিটি এখন সড়কের মাঝখানে চলে এসেছে। এতে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও ট্রাক চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। খুঁটিটি সরানো এখন জরুরি।”
সুন্দরগঞ্জ ডি.রাইটার সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. মশিউর রহমান বলেন, “সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। মুখোমুখি অবস্থায় গাড়ি আসলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে থাকলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক হাসু মিয়া বলেন, “ওই স্থানে কোনো ট্রাক ঢুকলে সেটি না পার হওয়া পর্যন্ত অন্য গাড়ি যেতে পারে না। এতে জ্যাম লেগে যায়, অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। খুঁটিটি সরানো এখন সবার দাবি।”
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, “সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে পৌর প্রশাসক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করতে বলেছেন। আজ-কালকের মধ্যে আবেদন করা হবে। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “খুঁটি সরানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “খুঁটি সরানোর জন্য বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আবেদন করতে হয়। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত পৌরসভা কোনো আবেদন করেনি। আবেদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে