জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্যদিকে অবিলম্বে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে একই দিন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
রোববার (১২ অক্টোবর) বাদ জোহর মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের উদ্যোগে শহরের চৌমুহনা দেওয়ানী মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
পরে জেলা জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের কাছে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান, জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, সহকারী সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির মো. ফখরুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা আমির আবু রাইয়ান শাহীন, কমলগঞ্জ উপজেলা আমির মো. মাসুক মিয়া, ছাত্রশিবিরের শহর সেক্রেটারি কাজী দাইয়ান আহমদ প্রমুখ।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও সে আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন করা।
২. জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
এদিকে খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের কাছে ছয় দফা দাবিসহ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির জেলা ও শহর নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, শহর সভাপতি কাজী মাওলানা হারুনুর রশিদ, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ সাইফুর রহমান প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা ও আইনি ভিত্তি প্রদান।
২. ওই সনদের ভিত্তিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
৩. জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৪. আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অপরাধের বিচার কার্যকর করা।
৫. নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অবৈধ অস্ত্র, কালো টাকা ও পেশিশক্তিমুক্ত সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করা।
৬. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া।
একুশে সংবাদ/এ.জে