তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল এ যুগে মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছে, তেমনি ডিজিটাল দুনিয়ার অন্ধকার দিকও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই ঘটছে ফেসবুক আইডি হ্যাক, বিকাশ-নগদ প্রতারণা, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি এবং ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
এই ভয়াল বাস্তবতায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কৃতিসন্তান, সাইবার নিরাপত্তার নায়ক মাহিন উল হাসান শুভ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেন একজন নিরলস যোদ্ধা।
শৈশব থেকেই প্রযুক্তি ছিল তার খেলার সাথী, কৌতূহলের জগৎ। সেই কৌতূহলকে মূলধন করে আজ তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার অন্যতম নাম। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরিশ্রম ও অদম্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে অগণিত মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
বর্তমানে শুভ যুক্ত আছেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সাইবার প্ল্যাটফর্ম ‘সাইবার ডিফেন্স’ এবং প্রশাসনের সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটে। ফেসবুক হ্যাক হোক, বিকাশ-নগদ প্রতারণা হোক কিংবা নিউজ পোর্টাল হ্যাকিং— মানুষের বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসেন এই তরুণ।
শুভর কাছে সাইবার নিরাপত্তা কেবল একটি পেশা নয়, এটি মানুষের জন্য দায়বদ্ধতা। তার নিজের ভাষায়, “প্রথমে শখের বসে শেখা শুরু করি, আজ সেটাই আমার পেশা। আমার স্বপ্ন— ফরিদগঞ্জসহ বাংলাদেশের তরুণরা যেন ডিজিটাল নিরাপত্তায় দক্ষ হয়ে নিজের ভাগ্য নিজের হাতে গড়ে নিতে পারে। কেউ শিখতে চাইলে আমি সবসময় পাশে থাকব।”
তার কর্মযজ্ঞে গর্বিত তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশিরা। বহু তরুণ তার কাছ থেকে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাদের কাছে তিনি যেন এক পথপ্রদর্শক।
প্রযুক্তির অপব্যবহার যখন সমাজকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন মাহিন উল হাসান শুভ-এর মতো তরুণরা নিঃসন্দেহে এক অনন্য আলো। তিনি শুধু হ্যাকারদের আতঙ্ক নয়, সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীকও বটে।
একুশে সংবাদ/এ.জে