বরেন্দ্র ভূমির তানোরে ধান, আলু ও আম চাষে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে সফল্য অর্জন করছেন। তবে পানির সংকট এখানকার বহু পুরাতন সমস্যা। এবার কিছু কৃষক গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে সরে গিয়ে নতুন সম্ভাবনাময় ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ—মাচায় তরমুজ চাষ, যা সফল করেছেন খাইরুল ও জাকির নামের দুই চাষি। এখন তাঁদের মাচায় ঝুলছে অফ-সিজনের তরমুজ।
তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের পাড়িশো গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ও জাকির পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। কামারগাঁ ইউনিয়নের পাড়িশো দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এই জমিতে, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায়, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে কয়েক জাতের তরমুজ বীজ বপন করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত তরমুজ, যার মধ্যে রয়েছে রঙ্গীলা, আম্বার সুইট, হলুদ মধুমালা ও ডোরাকাটা জাত।
তরমুজ চাষি জাকির জানান, মৌসুমি তরমুজের তুলনায় দেশে অফ-সিজনাল তরমুজের চাহিদা বেশি। ১২-১৪ দিনের মধ্যে তরমুজ উঠানো শুরু হবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তরমুজ কেনার জন্য যোগাযোগ করছেন।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব ইসলাম জানান, বরেন্দ্র ভূমিতে তরমুজের ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। অনেক কৃষক মাচায় তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এমন ফলন দেখে তিনি নিজেই নিয়মিত মাঠে গিয়ে দেখভাল করছেন। প্রতি হেক্টরে ৫০ মেট্রিক টন ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে