মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, স্বামীর নির্যাতনের ফলে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জীবন হারান। নিহতের নাম সাথী বেগম (৩৫)। তিনি দুই সন্তানের জননী এবং শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নুরজামাল তালুকদারের কন্যা। তাঁর স্বামী পাভেল (৩৫) শ্রীনগরের নাগরভোগ গ্রামের শেখ হামিদের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে পাভেল তার স্ত্রী সাথী বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের স্বামীকে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নিহতের মা অভিযোগ করেন, “আমার মেয়েকে মারতে মারতে মেরেই ফেলছে। ওর জামাই ওকে শান্তিতে রাখে নি। দফায় দফায় টাকাও নিয়েছে। আমি এতো কষ্ট করে টাকা দিয়েও মেয়েকে শান্তিতে রাখতে পারলাম না, ওরা আমার মেয়েকে মাইরাই ফালাইলো।”
নিহতের চাচা শহিদুল ইসলাম তালুকদার জানান, “বিয়ের পর থেকেই পাভেল আমার ভাতিজিকে নিয়মিত মারধর করতো। একাধিকবার স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করেছি, কিন্তু তিন-চার মাস পর থেকে আবারও নির্যাতন শুরু হয়েছে। আমরা এখন আমার ভাতিজির হত্যার বিচার চাই।”
নিহত সাথী বেগমের দুই সন্তান—মিম (১০) এবং আরাফাত (৪)। স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহ ও আর্থিক সমস্যার কারণে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই বিবাদ হতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মারধরের এক পর্যায়ে অসুস্থ হওয়ায় সাথীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে