সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রবাসী যুবক ফরহাদ হাসান সানী ওরফে খোকন (৪৮)। শনিবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় সৌদি আরবের তাবুক শহরের প্রিন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের সার্জন ডা. মো. দ্বীন ইসলাম মিঠু।
নিহত ফরহাদ হাসান সানী পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের হিজলীয়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। তার মেয়ে তানহা (১৪) অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছেলে প্রিন্স (৭) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রাইভেট কারে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি কংক্রিট পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ফরহাদ গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে তাবুকের প্রিন্স হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট ভাই ডা. মো. দ্বীন ইসলাম মিঠু বলেন, “আমার বড় ভাই দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে কাজ করতেন। তিনি পরিবারের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী ছিলেন। তার এমন আকস্মিক মৃত্যু আমাদের জন্য এক ভয়াবহ আঘাত। আমরা বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে পৌঁছালে গ্রামের নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।”
ফরহাদের মৃত্যু সংবাদে হিজলীয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রবাসী জীবনের দুই দশকের বেশি সময় পর দেশে ফিরছেন ফরহাদ হাসান সানী—তবে এবার নিথর দেহে।
একুশে সংবাদ/এ.জে