AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উলিপুরে মাদরাসায় গোপনে কমিটি গঠন নিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ



উলিপুরে মাদরাসায় গোপনে কমিটি গঠন নিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি মাদরাসায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো খসড়া বা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ না করেই গোপনে কমিটি গঠন করেছে। তারা অভিযোগ করেন, এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতাকে ক্ষুণ্ন করে স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মাটিয়াল আল মোজাদ্দেদীয়া দাখিল মাদরাসায় কমিটি গঠনের পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী এলাকায় মাইকিং বা নোটিশ টানানো হয়নি। ফলে অধিকাংশ অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এতে করে প্রশ্ন উঠেছে, কারা এই কমিটির সদস্য হয়েছেন এবং কীভাবে তাদের নির্বাচন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আইয়ুব আলী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একতরফাভাবে কমিটি গঠন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপির একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সুপার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন এবং অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এমনকি পছন্দসই অভিভাবক তালিকা প্রণয়ন করতে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করার অভিযোগও রয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট অভিযোগ দাখিলের পর প্রায় এক মাস অতিক্রম হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে মাদরাসা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া তদন্ত করে পুনরায় স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠন করতে হবে। অভিভাবক মিজানুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমার ছেলে এই মাদরাসায় পড়ে। অথচ আমি জানতামই না কমিটি গঠন হচ্ছে। কোনো তালিকা দেখিনি, কোনো নোটিশ পাইনি। এটা কেমন স্বচ্ছতা?”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “আমরা শিক্ষকরা অনেক সময় চাপে থাকি। সুপার সাহেবের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বললে চাকরি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় এবং হয়রানির শিকার হতে হয়।”

মাদরাসার বিএসসি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কমিটি গঠনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মাদরাসার কাছেই আমার বাড়ি, ডাকলেই যাই।”

অভিযুক্ত সুপার আইয়ুব আলীর সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!