গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে অ্যানথ্র্যাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্যাকসিন দেওয়া সত্ত্বেও গত শনিবার একদিনে ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক গবাদি পশু।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছে। কর্মকর্তাদের মতে, মৃত পশুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
উপজেলা প্রাণি অফিসার বিল্পব কুমার দে বলেন, “উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্র্যাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ও উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে।”
বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমান মন্টু জানান, “ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও শনিবার ওই গ্রামের খয়বর হোসেন, বাবুজার মিয়া ও চান্দ মিয়ার গরু মারা গেছে। এছাড়া আরও চারটি গরু গুরুতর অসুস্থ, যেগুলি যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। এ গ্রামে অ্যানথ্র্যাক্সের উপসর্গে আক্রান্ত ১১ জন মানুষের মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি, বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ বদিরুল আহসান সেলিম বলেন, “গবাদি পশুর মধ্যে অ্যানথ্র্যাক্স রোগের প্রার্দুভাব দেখা দেয়ায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দিবাকর বসাক বলেন, “অ্যানথ্র্যাক্সে আক্রান্ত গরু বা ছাগল পরিচর্যা করলে বা জবাই করলে মানুষের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, “অ্যানথ্র্যাক্স রোগের প্রার্দুভাব মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন মনিটরিং টিম গঠন করেছে। টিমটি সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন।”
একুশে সংবাদ/এ.জে