পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব শেষে বিদায় নিলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বৃহস্পতিবার আত্রাই নদীর তীরে লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বিকেলে বিজয়া দশমীর পূজা অর্চনা ও সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মন্ডপগুলোর প্রতিমা নৌকায় তোলা হয়। উপজেলা সদর ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে অনেক প্রতিমা আত্রাই ছোট যমুনা নদীতে আনা হয়। প্রতিমাবাহী নৌকাসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং বিভিন্ন ক্লাবের শত শত নৌকা নদীতে ভাসানো হয়। প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে নৌবিহার চলে। এ সময় অনেক ভক্ত কান্নায় ভেঙে পড়েন, সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্য।
সকালে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। ঢাক, শঙ্খ, মন্ত্রপাঠ, উলুধ্বনি, অঞ্জলি, নাচ ও সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানো হয়। ধান, দুর্বা, মিষ্টি ও আবির দিয়ে ভক্তরা প্রতিমার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
প্রথা অনুযায়ী, প্রতিমা বিসর্জনের পর নদী থেকে শান্তির জল মঙ্গলঘটে নেওয়া হয় এবং এটি আগামী বছরের পূজায় প্রতিমার সামনে রেখে পূজা করা হয়। বাঙালি পূজার চার দিনে দৈনন্দিন জীবনের বাঁধা থেকে মুক্তির অনুভূতি পান এবং আসন্ন বছরের জন্য প্রত্যাশার বার্তা গ্রহণ করেন।
পূজা উপলক্ষে আত্রাই নদীর দুই পাড়সহ পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় নৌবিহার শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁচুপুর, তিলাবাদুরি, বিপ্রোবোয়ালিয়া, বিশা ও সুটকিগাছা রাবারড্রাম সংলগ্ন স্থানে পর্যায়ক্রমে প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেওয়া হয়। এ বছর আত্রাই উপজেলায় মোট ৫১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে