“জিংক ধানের ভাত খেলে পুষ্টি ও মেধা উভয় মিলে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের সম্প্রসারণে সপ্তাহব্যাপী মাইকিং প্রচারণা পরিচালনা করা হয়েছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পীরগঞ্জ উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামে এই প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
হারভেস্টপ্লাসের বাস্তবায়নে রিয়েক্টস ইন প্রজেক্টের আওতায় এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) আয়োজনে জিংক ধান ও জিংক গমের এই প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদরের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, “জিংক ধান পুষ্টিসমৃদ্ধ। এটি খেলে শরীরে জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়। সত্যিই এই প্রচারণাটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক।”
ইএসডিওর রিয়েক্ট ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ আশরাফুল আলম বলেন, “সপ্তাহব্যাপী মাইকিংয়ের মাধ্যমে বায়োফোর্টিফাইড জিংক ধান ‘ব্রিধান-৭৪’, ‘ব্রিধান-৮৪’, ‘ব্রিধান-১০০’ ও ‘ব্রিধান-১০২’-এর উৎপাদন প্রযুক্তি এবং মানবদেহে জিংক পুষ্টির চাহিদা ও উপকারিতা সম্পর্কে শ্রুতিমধুর কণ্ঠ ও সঙ্গীতের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রচার করা হয়। পাশাপাশি সকল জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের উপরে লিখিত লিফলেট ও ব্রুশিয়ার বিতরণ করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধান সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।”
এদিকে বিভিন্ন স্তরের স্থানীয়রা হারভেস্টপ্লাস ও ইএসডিওর এই প্রচারণা কার্যক্রমে সাড়া দিয়েছেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা এই কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেছেন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, “ইএসডিও একটি সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইএসডিওকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধানের ভাত খেলে মানুষের শরীরে জিংকের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ধান। আমরা ইএসডিওকে সবসময় সহযোগিতা করে যাচ্ছি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে