শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সূচনা হলেও সপ্তমী থেকেই মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এই দিন থেকেই দেবীর অন্নভোগ আরম্ভ হয় এবং ষোড়শ উপাচারে দেবী দুর্গাকে পূজিত করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রমতে বিশ্বাস করা হয়, মহাসপ্তমীর এই তিথিতেই দেবী জাগ্রত হয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ করেন।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, এ বছর দেবী গজ বা হাতিতে চড়ে মর্ত্যলোকে আগমন করেছেন। এর প্রতীকী অর্থ পৃথিবী ভরে উঠবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে।
দিনের শুরুতে নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজার আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। কদলী (কলা), কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান ও ধান এই নয়টি উদ্ভিদকে একত্র করে কলাবউ রূপে দেবীর ডান পাশে প্রতিস্থাপন করে পূজা করা হয়। পরবর্তীতে দেবীকে স্নান, চক্ষুদান, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্প, চন্দন, ধূপ ও দীপ নিবেদন করে আরাধনা করা হয়।
রাজবাড়ী জেলায় এ বছর পাঁচটি উপজেলায় মোট ৪৪০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকেই প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভক্ত-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভক্তরা আরাধনায় মগ্ন হয়ে দেবী দুর্গার কাছে মঙ্গল, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে