খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের বিচারের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের নামে রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জুম্ম ছাত্রজনতা ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে জড়ো হতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে পরিস্থিতি ও সংঘর্ষ এড়াতে গুইমারা উপজেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ জরুরি ধারা জারি করে।
তবে প্রশাসনের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় জড়ো হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্ধুকছড়ি জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মাজহার হোসেন রাব্বানীসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ সদস্য আহত হন।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি এম সাইফুর রহমান গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে