আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে উপজেলায় ৪২টি মণ্ডপ পূজা উদযাপনের জন্য প্রস্তুত। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৬টি। এবছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৬টি।
উপজেলায় প্রতিমা নির্মাণ, তোরণ নির্মাণ ও রঙের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে উপজেলার হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বী। দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি।
কেন্দুয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা যায়, এবছর যে ৬টি নতুন মণ্ডপ বেড়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—কান্দিউড়া ইউনিয়নের তাম্বুলীপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, মেজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর পূর্বপাড়া বর্মনপাড়া দুর্গামন্দির, চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা সুভাষ ভদ্র মহাশয়ের বাড়ি, সান্দিকোনা ইউনিয়নের সাহিতপুর ত্রিনেত্রশ্বরী দুর্গামন্দির, আশুজিয়া ইউনিয়নের আশুজিয়া নকুল ভূষণ পাল মহাশয়ের বাড়ির দুর্গামন্দির এবং আশুজিয়া ইউনিয়নের বুধপাশা সর্বজনীন দুর্গা মন্দির।
উপজেলার ৪২টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে—কেন্দুয়া পৌরসভায় ৩টি, আশুজিয়া ইউনিয়নে ৬টি, দলপা ইউনিয়নে ২টি, গড়াডোবা ইউনিয়নে ২টি, গন্ডা ইউনিয়নে ১টি, সান্দিকোনা ইউনিয়নে ২টি, মাসকা ইউনিয়নে ১টি, বলাইশিমুল ইউনিয়নে ২টি, নওপাড়া ইউনিয়নে ৬টি, কান্দিউড়া ইউনিয়নে ১টি, চিরাং ইউনিয়নে ৫টি, রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নে ৬টি, পাইকুড়া ইউনিয়নে ৪টি এবং মোজাফরপুর ইউনিয়নে ১টি পূজা মণ্ডপ কার্যক্রম সম্পন্ন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার গুজব ছড়ালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অনিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, মানুষের ধর্মপ্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর ৬টি মণ্ডপ বেড়ে ৪২টি পূজা মণ্ডপে উদযাপন হবে। সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার সরকার বলেন, মায়ের কৃপা লাভ ও জাগতিক মঙ্গলের কারণে পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি মণ্ডপে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রস্তুত।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন। এছাড়া সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীও পূজা চলাকালে টহল দেবে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং আযান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আসন্ন দুর্গাপূজার সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিট পুলিশের সদস্যরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। স্বেচ্ছাসেবক ও চৌকিদারদের সহায়তায় প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে