রাজশাহীর তানোরে আমন ধানে হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিনিয়ত কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ধান বাঁচাতে সকাল বিকেল জমিতে কীটনাশক স্প্রে করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
ফলে প্রান্তিক কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের কোনো উপসহকারী কর্মকর্তা মাঠে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ডাকা হলেও কৃষকরা সাড়া পাচ্ছেন না। এতে করে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ধান বাঁচাতে কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কারেন্ট পোকার এমন দৃশ্য। কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও তাদের ধান বাঁচাতে পারছেন না।
কৃষকরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এবছর তেমন হয়রানির শিকার হতে হয়নি। আমন রোপণের সময় পানি সমস্যা না থাকলেও সার ও পটাশের সংকট ও দাম বেশি ছিল। তারপরও কষ্টসাধ্য হলেও বেশি দামে সার ও পটাশ কিনে ধান চাষ করেছেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করে কারেন্ট পোকার আক্রমণে স্বপ্নের ফসল নষ্ট হচ্ছে। বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে তানোর উপজেলার কৃষকরা নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
অথচ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা উদাসীন। মাঠে উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেখা মিলছে না। অফিসে গিয়েও কৃষকরা কোনো সুপরামর্শ পাচ্ছেন না। তাই তারা নিজে নিজে বাজার থেকে কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করছেন। তাতে তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
তানোর উপজেলার যশপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ও ইনছান আলী জানান, যেভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হচ্ছে তাতে খরচ জুটবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তারা বলেন, বাজারে কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে কোনটি আসল আর কোনটি নকল বোঝা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।
কারেন্ট পোকার আক্রমণ বিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কোনো কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে