মদন গুচ্ছ গ্রামে সরকারি পুকুর দখল করে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রোকন মিয়ার বিরুদ্ধে। ওই জায়গা দখল করে ছয় মাস আগেও তিনি ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করেন। তখন ইউএনও ভবন নির্মাণ করতে নিষেধ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নির্মাণাধীন ভবন ঘুরিয়ে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পর্যন্তও পাচ্ছে না গুচ্ছ গ্রামের লোকজন।
তবে রোকন দাবি করেন, তিনি একা পুকুর দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন না। তার আগে আরও বেশ কয়েকজন গুচ্ছ গ্রামের লোক জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। রোকন মিয়া উপজেলার মদন গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মদন গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে রোকন মিয়া স্থানীয় প্রভাব ব্যবহার করে গুচ্ছ গ্রামের সরকারি পুকুর দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুচ্ছ গ্রামের অনেকে বলেন, ইউএনও স্যারের নিষেধ সত্ত্বেও রাতের আঁধারে রোকন গুচ্ছ গ্রামের সরকারি পুকুরে আরসিসি পিলার বসিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলায় অনেককে মারধরের শিকারও হতে হয়েছে। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে আর কেউ এরকম সাহস পেত না।
সরকারি গুচ্ছ গ্রামের পুকুর দখল করে ভবন নির্মাণকারী বিদেশ ফেরত রোকন মিয়া বলেন, “আমি একা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছি না। এখানে আশেপাশে আরও অনেকেই সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছে। আমিও একটি ব্যবসার জন্য ঘর নির্মাণ করছি।”
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরসিসি পিলার বসিয়ে পুনঃনির্মাণ করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এখন যদি আমার ঘরের আরসিসি পিলার ভাঙতে হয়, তাহলে ইউএনও স্যারকে আশেপাশের সবকটি ঘর ভাঙতেও হবে।”
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অলিদুজ্জামান বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি সম্পত্তি দখল করা যাবে না। যদি কেউ দখল করে—যত বড় বা শক্তিশালী ব্যক্তি হোক—তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে