,
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হঠাৎ করেই পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালটি ঘুরে দেখেন এবং রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সমস্যার খোঁজখবর নেন। রোগীদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও দৈনন্দিন কার্যক্রম ও সমস্যার কথা শোনেন তিনি।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রীতম দাশ। তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী আসেন, তার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। পরিচ্ছন্নতাকর্মীও অপর্যাপ্ত। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মাত্র ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। ফলে চিকিৎসকদের দ্বিগুণ দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা সেবার মানও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী নেই। ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে বহিরাঙ্গনে অতিরিক্ত বেড বসানো হয়, কিন্তু সেখানে ফ্যান নেই। হাসপাতালে অনেক জায়গায় লাইট নষ্ট হয়ে থাকায় অন্ধকার থাকে। আজ আউটডোর বিভাগে প্রচুর রোগী এসেছিলেন, কিন্তু চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকায় তাদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডের সামনে ফাটল ধরে আছে, বৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে পানি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এগুলো সমাধান না হলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
প্রীতম দাশ বলেন, চিকিৎসকরা দ্বিগুণ দায়িত্ব পালন করে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। তবে এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চিকিৎসা কার্যক্রমে আরও অচলাবস্থা তৈরি হবে। তাই আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলব, যেন এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ, পানি ও অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোও দ্রুত সমাধান করতে হবে।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে