কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক নারী কর্মচারী।
রোববার (৩১ আগস্ট) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ওই নারী কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব অভিযোগটি আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীকে চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিতেন ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার। রাজি না হলে বরখাস্ত এবং প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন তিনি। একাধিকবার রুমে ডেকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ বার্তাও পাঠাতেন। এ ঘটনায় পরিচালক হেলিশ রঞ্জনের স্ত্রীও বাদীকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাদীর দাবি, গত ২১ আগস্ট রাতে স্ত্রীকে সামনে রেখে সমঝোতার কথা বলে কোয়ার্টারে ডেকে নেন অভিযুক্ত পরিচালক। তবে সেখানে স্ত্রীকে না পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ২৬ আগস্ট বিকেলে অফিসকক্ষে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার চিৎকারে হাসপাতালের কর্মচারী ও দর্শনার্থীরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তখন নিজেকে ওই নারীর ‘বিবাহিত স্ত্রী’ পরিচয় দিয়ে ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করেন পরিচালক।
বাদী আরও জানান, থানায় অভিযোগ দিলে ওসি মামলা নেননি। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার মোবাইল ফোনে বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলি, আমি এখন বাইরে আছি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালতের আদেশের কপি এখনও থানায় পৌঁছেনি। কপি হাতে পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

