নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ডহরপাড়া গ্রামের মোঃ সুমন মোল্লা (১৫), যিনি একজন ভ্যান চালক, ২১ আগস্ট সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ভাড়া ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরে তিনি বাড়িতে ভাত খাওয়ার কথা জানালেও রাত পর্যন্ত আর ফিরে আসেননি। পরিবারের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২২ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে সুমনের ভ্যান গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন গোপালপুর বাজারে পাওয়া যায়।
পরিবারের সহায়তায় সুমনের মা, সামেলা বেগম, লোহাগড়া থানায় ছেলে নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী (নং-১০৫৮, ২২/০৮/২০২৫) করেন। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ সুপার ও পিবিআই যশোরের নজরে আসে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
২৪ আগস্ট বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে লোহাগড়া থানাধীন কামঠানা সাকিনস্থ জনৈক হিরু মোল্লার ধানী জমির পাশে ওয়াফদা খালের পানির মধ্য থেকে সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লোহাগড়া থানা পুলিশ মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করে। সুমনের মা অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং-১৯, ধারা-৩০২/৩৪ রুজু হয়।
পিবিআই যশোর জেলা ইউনিটের তত্ত্বাবধানে তদন্তের পর ২৭ আগস্ট রাত ১:৩৫ ঘটিকায় নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন রঘুনাথপুর সাকিনস্থ আসামীর শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রধান আসামী শাহাদাৎ হোসেন (১৯) গ্রেপ্তার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, অর্থের প্রয়োজন হলে ভ্যান চুরি করার পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমনকে হত্যা করে ভ্যানটি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। ভ্যানের ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়ায় তিনি ভ্যানটি গোপালগঞ্জে ফেলে পালান।
ধৃত আসামী শাহাদাৎ হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে