ডাসারে সরকারি খাল উদ্ধার অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম ভাসাই সিকদার। তিনি অবৈধ দখলদার আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের পক্ষে দীর্ঘ সময় চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ বেলায়েত হোসেন সরকারি খাল ভরাট করে পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে আসছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা আন্দোলন, মানববন্ধন এবং সংবাদ প্রকাশ করলে প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার দিয়ে ৩৩ নং ধামুসা মৌজার ৭২১ দাগে সরকারি খালের পরিমাপ ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। উচ্ছেদের কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান ভাসাই সিকদার সময় চেয়ে আবেদন করেন।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। স্থানীয় বাজার কমিটি ও সূত্রমতে, ২০১০ সাল থেকেই খাল উদ্ধারের দাবি জোরালো ছিল। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেলায়েত হোসেন খালটি দখলে রেখেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর চেয়ারম্যান ভাসাই সিকদার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফেরেন এবং বর্তমানে তিনি পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এলাকার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন—একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কীভাবে প্রশাসনের কাজে বাধা দেন এবং অবৈধ দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ উল আরেফীন বলেন, “চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভাসাই সিকদার একটি আবেদন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকারি খাল, রাস্তা ও হালট ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে পুনরায় পরিমাপ করা হোক।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে