ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ রানার বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিও ক্লিপে তার এ বক্তব্যের ব্যাপক নিন্দা ও চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এই হুমকিকে গণমাধ্যম স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ ও সংবিধান ও গণতন্ত্রবিরোধী মনোভাব হিসেবে বিচার করেছেন।
ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষক দল শনিবার (৯ আগস্ট) জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান উজ্জল স্বাক্ষরিত একটি বহিষ্কার পত্র জারি করে মাসুদ রানাকে দল থেকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়েছে, অনৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং দল তার কোনো অপকর্মের দায় নিতে রাজি নয়। এছাড়া সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর্জা ফয়সল আমিন বলেন, “বিএনপি কখনোই স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরোধিতা করে না। আমরা দলীয়ভাবে এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করি না। বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ রানা ও তাঁর ছেলে মশিউর রহমানের ক্যাসিনো এজেন্ট, হ্যাকার ও অবৈধ সম্পদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কয়েকজন সাংবাদিক অনুসন্ধান করতে গেলে মাসুদ রানা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের গুষ্টি সাফ করে দেওয়ার ও প্রেসক্লাব উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম শাওন বলেন, “মাসুদ রানা কৃষক দলের নামে অবৈধ কাজ করত। তাকে বহিষ্কার করে দল কলঙ্কমুক্ত হলো। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিএনপির কোনো স্থানে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।”
রাণীশংকৈল থানা কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক জানান, “সাংবাদিকদের হুমকির বিষয়ে আমার জানা আছে। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে