গাজীপুরের শ্রীপুরে পোস্টারে বসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে ভাসমান যুবক জুয়েলকে (২৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুই কিশোর। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক যুবক ও এক কিশোরকে গ্রেপ্তার এবং ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) ভোর তিনটার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা (বড়ইবাড়ী মোড়) গ্রামের হযরত আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান (১৬) এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা—বাইশামুল (আমতল) গ্রামের নূরুল আমীনের ছেলে রবিন (২০)।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, শনিবার ভোরে ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে অস্থায়ী চায়ের দোকান ‘গল্পছড়া চা ঘর’-এর পাশে ঘুমাতে যায় ভাসমান যুবক ও কিশোর—জুয়েল, রাকিবুল হাসান এবং রবিন। এ সময় পোস্টারের বিছানায় ঘুমানো নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় রাকিবুল হাসানের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জুয়েলের বুকে আঘাত করে। এতে রবিনের হাত কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ও গ্রেপ্তার—উভয়েই ভাসমান এবং তারা মাওনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীক বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে ওসি জানান। খবর পেয়ে মাওনা চৌরাস্তায় টহল পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাকিবুল হাসান ও রবিনকে আটক করে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, যুবক জুয়েলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে