নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে উভয় দল।
সংঘর্ষ হয়েছিল গতকাল, ৩ অক্টোবর বিকেলে, উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের সান্দিকোনা বাজারে। সংঘর্ষে মোট ৬ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপির ১ জন এবং জামায়াতের ১ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংঘর্ষের জেরে শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এবং পৌরসদরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবুলসহ কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও জামায়াত শিবিরের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু বলেন, গতকাল ৩ অক্টোবর বিকেলে সান্দিকোনা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক হাবুল মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশেই একটি কোচিং সেন্টারে জামাতের মিটিং চলছিল।
মিটিংয়ে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী উপস্থিত থাকায় হাবুল মিয়াকে একজন ব্যক্তি জানায়, এখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিটিং করছে এবং বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করছে।
তাৎক্ষণিক হাবুল মিয়া সেখানে গিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য শুনে প্রতিবাদ জানালে, জামায়াত কর্মীরা তাকে সহ কয়েকজনকে মারধর করে। এতে হাবুল মিয়াসহ ৪ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন জামায়াতের নিয়মিত সাধারণ সভায় যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবুলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম শামীমসহ তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত সহ-সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম শামীমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঐদিন রাত নয়টার দিকে জামায়াত ইসলামের উপজেলা কার্যালয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলা জামায়াতের নেতা।
আবার শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এর প্রতিবাদে কেন্দুয়ায় জামায়াত ইসলামের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন জামায়াতের উপজেলা আমীর মাওলানা সাদেকুর রহমান।
একুশে সংবাদ/এ.জে