মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট আটকে ছিল। ট্রেনের কোচের লিংক লাইনে ত্রুটির ফলে পেছনের তিনটি বগিতে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় শ্রীমঙ্গল স্টেশনে এনে মেরামতের কাজ চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। কেউ কেউ ট্রেনের ভেতরে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যাগপত্র রেখে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে অনেকেই সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার বিকেল ৪টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসে। এটি সন্ধ্যা ৬টায় শ্রীমঙ্গল পৌঁছানোর কথা থাকলেও আসে ৬টা ৪৩ মিনিটে। স্টেশনে পৌঁছানোর পর ট্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়।
শ্রীমঙ্গলের বরুণা মাদরাসার শিক্ষক সৈয়দ আতহার জাকওয়ান বলেন, “ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাড়ে ৬টার দিকে পারাবত এক্সপ্রেসে উঠেছিলাম। এখন প্রায় রাত ৯টা, এখনও শ্রীমঙ্গলেই আটকে আছি।”
ট্রেনের আরেক যাত্রী বাবলু রায় বলেন, “ছয়টার আগেই স্টেশনে চলে এসেছিলাম। ট্রেন আসতে দেরি করেছে। আবার যান্ত্রিক সমস্যার কারণে দুই ঘণ্টার বেশি সময় পরে ট্রেন ছেড়েছে। এতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।”
যাত্রী মায়া রানী পাল বলেন, “ভীষণ অস্বস্তিকর অবস্থা। ট্রেনের ভেতরে সব মালামাল রেখেছি, কিন্তু ফ্যান-এসি কিছুই চলছে না। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকাও নিরাপদ নয়। রাতে কখন যে ঢাকায় পৌঁছাবো, কে জানে। বাসায় ফেরাটাও ভোগান্তির হবে।”
আরেক যাত্রী করিম মিয়া বলেন, “সিলেট রুটের প্রায় সব ট্রেনেই সমস্যা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয় না বলেই মনে হয়। আজ বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা সিলেটবাসী এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।”
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন জানান, “কোচে সমস্যা থাকায় ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। মেরামতের কাজ শেষ করে রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। এর আগে যাত্রীদের মাইকিং করে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে