AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জুলাই আন্দোলনে সোনারগাঁয়ের শহীদ মেহেদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আতাউর রহমানের শোক



জুলাই আন্দোলনে সোনারগাঁয়ের শহীদ মেহেদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আতাউর রহমানের শোক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র আন্দোলনে সোনারগাঁয়ের শহীদ মেহেদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক প্রকাশ করেছেন রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মেহেদীর বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবার ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর গুলিতে ধূলিসাৎ হয়ে যায়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন বাবা-মা দিশেহারা।

নিম্নবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান মো. মেহেদী (২০) ছিলেন। জীবনের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষাজীবন থেকেই জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে আন্দোলনে রাস্তায় নামেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পিচঢালা রাস্তায় রক্ত ছড়িয়ে তিনি শহীদ হন। ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে না পারলেও গর্বিত করেছেন পরিবার ও এলাকার মানুষকে।

শহীদ মেহেদীর পিতা মো. সানাউল্লাহ বলেন, মেহেদী ছোট ছেলে, বড় বোন নির্জনাকে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে বসুন্ধরা গ্রুপের পেপার মিলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার রায়পাড়া গ্রামে, বর্তমান বসবাস নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে। মেহেদী জন্মের পর থেকে নানির বাড়িতে বড় হয়েছেন। স্থানীয় গজারিয়া প্রাইভেট ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সোনারগাঁও শিল্পনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন।

শোকে কাতর মেহেদীর মা শিল্পি বেগম বলেন, গত বছর ২০ জুলাই দুপুরে মেহেদী খেতে যাবে বলে বের হয়, কিন্তু আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে আদরের একমাত্র ছেলে শহীদ হলো। পুলিশের গুলিতে মেহেদীর মগজ বেরিয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। কী দোষ করেছিল মেহেদী? যারা তাকে মেরেছে তাদের বিচার চাই।

শহীদ মেহেদীর পিতা আরও বলেন, বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ চিটাগাং রোডে গুলিবিদ্ধ হয় মেহেদী। সন্ধ্যা ৭টায় মোবাইলে একজন ফোন দিয়ে জানায়, “আপনার সন্তান গুলি খেয়েছে।” নারায়ণগঞ্জে গিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা সন্তানকে দেখে বুঝতে পারেন গুলিতে তার মগজ পেছনে বেরিয়ে গেছে। এলাকার লোকজন পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। পুলিশ মৃতদেহে লাথিও মারছিল। ওই রাতে লাশ ঝাউচরে নিয়ে গিয়ে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। ঝাউচরে মেহেদীর ঘরে বইগুলো সাজানো ছিল, যা দেখে মা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

মেহেদীর পিতা বলেন, ছেলেকে হারিয়েছি, আর ফিরে পাবো না। রাষ্ট্র যেন তাদের ভুলে না যায় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে—এ দাবি আমাদের। তিনি জানান, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ৫ লাখ টাকা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।

রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, শহীদ মেহেদী, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ হাজারো ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে এদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন শহীদ মেহেদীকে শহীদ মর্যাদা ও জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করার জন্য।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আতাউর রহমানের আহ্বান, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সব অপরাধীদের বাংলাদেশের মাটিতে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে

Link copied!