অভয়নগরের রেমিট্যান্স যোদ্ধা এস এম হাসানের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলি শংকরপাশা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনের আয়োজন করে ডি.আই.এন.জি.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নাউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সদালাপী ও সজ্জন হাসানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে আজ সবাই একত্রিত হয়েছে। তার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি—যথা ফাঁসি—দিয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
ডি.আই.এন.জি.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “হাসান আমাদের বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এ ধরনের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমাজে এ ধরণের অপরাধ বাড়বে।”
আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম, নাউলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, মল্লিক সোলায়মান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সর্দার হারুন-অর-রশিদ, নিহত হাসানের বড় ভাই মুন্না হোসেন, সমাজসেবক উজ্জ্বল হোসেন, সুজা উদ্দিন এবং শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া এশা।
উল্লেখ্য, খুন হওয়া হাসান (২৮) অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের বাসিন্দা ও হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে। ২০১৮ সালে জীবিকার তাগিদে কুয়েত যান তিনি। প্রায় সাত বছর পর চলতি বছরের ১৪ জুন দেশে ফিরে আসেন। ওইদিন রাতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন হাসান। পরে ১৬ জুন সকালে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে গলাকাটা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুন্না হোসেন বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে