৪ বছরে শিং গজিয়েছে ৭টি। আর ওই ৭টি শিং নিয়ে বেড়ে উঠছেন কোটচাঁদপুরের বহরমপুর গ্রামে বিস্ময় গরুটি। তাকে দেখতে দূর দূরন্ত থেকে দর্শণার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন ওই বাড়িতে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রাম। ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন, (৪৫)। সে দীর্ঘদিন ধরে গরু-ছাগল পালন করেন। গেল ২০২১ সালের দিকে তিনি বাজার থেকে একটা গাভী কিনেন। সেই গাভীটির গর্ভে জন্মগ্রহণ করে গরুটি। প্রথম দুই বছর কোনো কিছুই বোঝা যায়নি। এরপর গরুর বয়স ২ বছর পড়ার পর স্বাভাবিক দুইটি শিংয়ের পাশ থেকে আরও একটা শিং দেখা যায়। এরপর বছর পার হতে না হতেই আরও তিনটি শিং দেখা যেতে থাকে।
তারপর থেকে বেশ কিছুদিন আর কোনো শিং দেখা যায়নি। সে সময় ওই গরুর মাথায় মোট ৬টি শিং দেখা যায়। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক দর্শনার্থী গরুটি দেখতে আসেন মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে।
এখন গরুটির বয়স ৪ পার হয়ে ৫ বছরে পড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে গরুটি। তবে বড় শিংগুলোর পাশ দিয়ে দেখা যাচ্ছে আরও একটা শিং। সব মিলিয়ে গরুটি এখন ৭টি শিং।
গরুর মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা চাষি গৃহস্থ মানুষ। আগে থেকেই আমাদের বাড়িতে গরু-ছাগল পালন করা হতো। সেই সুবাদে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমারও গরু ছাগল পালন করতে ভালো লাগত।
তিনি বলেন, গেল ৫ বছর আগে গরু পালনের জন্য বাজার থেকে গাভীটি কিনে আনা হয়। তার গর্ভে জন্মে গরুটি। সে ছোট বেলায় গোয়ালের সব গরুর মতো আচারণ করত, খাওয়া দাওয়া করত। তবে পাথক্য দেখা যায় ২ বছর বয়স থেকে। যে সময় স্বাভাবিক গরুর তুলনায় অস্বাভাবিক শিং দেখা যেতে লাগল। সে সময় অনেক মানুষ অনেক কথা বলে। তারপরও তার মায়ায় পড়ে আজও লালনপালন করে আসছি। এখন তার বয়স ৪ পার হয়ে ৫ বছরে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে বড় শিংয়ের পাশ দিয়ে আরও একটা ছোট শিং।
তিনি আরও বলেন, খবরটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে গরুটি কিনতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে সে সময় গরুটি ছোট থাকায় বিক্রি করতে চাইনি। এখন গরুটি বিক্রি করতে চাই। তবে কোনো মাংস বিক্রেতার কাছে নয়। কোনো বিশেষ ক্রেতা পেলে গরুটি বিক্রি করার কথা ভাবছেন তিনি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এমন একটা গরু আছে শুনেছি। দেখি নাই। এটা জন্মগত হতে পারে। এটা একটা বিশেষ গরু।
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে