AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ



চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলে নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক। স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষার আগের দিন গভীর রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় খুলে গোপন বৈঠক করা হয় এবং পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার্থীদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬তম গ্রেডের ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে মোট ৩৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ১৩,৬৬৮ জন চাকরি প্রত্যাশী। অর্থাৎ প্রতি পদের বিপরীতে প্রায় ৩৫০ জন প্রতিযোগিতা করেন। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষার আগের রাতেই সিভিল সার্জনের অফিস খোলা রেখে কর্মকর্তারা গোপনে বৈঠক করেন, যা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সাধারণত অফিস সন্ধ্যার পর বন্ধ থাকার কথা থাকলেও, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত অফিস খোলা ছিল।

অনেক পরীক্ষার্থী জানান, তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র ও সিট প্ল্যান একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়। যদিও বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল, তারপরও পরীক্ষার দিন অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন অভিযোগে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩০২ নম্বর কক্ষে এক পরীক্ষক পরীক্ষার্থীকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন।
পরীক্ষার্থী আয়েশা হুসাইন লিখেছেন,“৩০২ নম্বর কক্ষে এক পরীক্ষক একজন পরীক্ষার্থীকে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। আমি প্রতিবাদ করলে কিছু সময় থেমে যান, পরে আবার চেষ্টা করেন। পরে হল পরিদর্শক আসলে আমি লিখিত অভিযোগ করি এবং তারা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষককে বাইরে নিয়ে যান।”

তিনি আরও বলেন,“সিভিল সার্জন অফিস রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা ছিল কেন?”

এই অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

চুয়াডাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র তামান্না খাতুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন:“নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মৌখিক অভিযোগ আগেই আমাদের কাছে এসেছে। আমরা চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে পরীক্ষা শেষে আবারও অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কামিল মাদ্রাসার ৩০২ নম্বর কক্ষে কী হয়েছিল, তা তদন্ত করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,“প্রবেশপত্রে উল্লেখিত কেন্দ্র পরিবর্তনের কারণ ও পরীক্ষার আগের রাতে সারারাত অফিস খোলা রাখার জবাব জনগণ চায়। আমরা কাউকে সরাসরি দোষারোপ করছি না, তবে জবাবদিহিতা চাইছি।”

এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

 

একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!