বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সাগরের সৃষ্ট লগুচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের প্রবল স্রোতে বারইখালী ইউনিয়নে ভরাঘাটা এলাকায় দেড় কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি থেকে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দুই গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলে উপযোগী করার।
শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নে বারইখালী গ্রামের ১ ও ২নং ওয়ার্ডের কার্পেটিং ও ইটসোলিং রাস্তাটি জোয়ারের পানিতে গত ২ দিন ধরে ভেঙ্গে যাওয়ায় জনচলাচলের দুর্ভোগে পড়েছে দুই গ্রামের ১৫০০ পরিবারের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি থেকে প্রতিদিন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিক মিয়া মাদরাসা, ইব্রাহিম স্মৃতি দাখিল মাদরাসায় শত শত শিক্ষার্থীরা পাঠদানে যাচ্ছে। এছাড়াও ৩টি মসজিদ, কাস্মির, তুলাতলাসহ উপজেলা শহরে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে জোয়ারের পানিতে ভরাঘাটা সাপলা চত্বর থেকে শরীফবাড়ি অভিমুখি ১ কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তাটি বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙ্গে পড়েছে। বারইখালী-ভায়া তেতুলবাড়িয়া হয়ে জিউধরার ডেউয়াতলা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি ভরাঘাটা স্থান থেকে ভেঙ্গে পড়েছে। যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
কথা হয় বারইখালী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গৃহিণী ফতেমা বেগম, শিক্ষার্থী তুহিন হাওলাদার, মোটরসাইকেল চালক জসিম উদ্দিন, ইব্রাহিম শেখ, আবুল আলা শরীফ বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার এ দু’দিনের জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে হঠাৎ করে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। কোন মালামাল নিয়ে বাড়ি ঘরে আশা যাচ্ছে না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে পাঠাতে অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম পূর্বাঞ্চলকে বলেন, গত দু’দিনের অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে যেসব রাস্তা ভেঙ্গে গেছে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
একুশে সংবাদ / বা.প্র/এ.জে