কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদ উল্যাহ সম্প্রতি একটি অনিবন্ধিত ভূঁইফোড় অনলাইন ফেসবুক মিডিয়া পেইজ ‘কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’তে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর পোস্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গত ২৬ মে ২০২৫ ইং তারিখে উক্ত মিডিয়ার “কুমিল্লা ক্রাইম বার্তার সাংবাদিক আবু মুসাকে মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে জেলে পাঠালেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদ উল্ল্যাহ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ।
তিনি এক বিবৃতিতে জানান, গত ২৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৩টায় তিতাস থানাধীন ৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামে বাদীর বসত বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে মোহাম্মদ সাজিম হাসান (২২) নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আটক করা হয়। তার পরিবারের নিকট মুক্তিপণ হিসাবে ১,৫০,০০০/- টাকা দাবি করা হয়।
পরবর্তীতে ২৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে আসামিরা ভিকটিমকে নিয়ে আসামানিয়া বাজারে গেলে ভিকটিম চিৎকার করলে স্থানীয়রা ২ জনকে আটক করে থানায় ফোন করেন। তখন থানার টহল টিম ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং এজাহার নামীয় ২ আসামিকে আটক করে।
আটক আসামিদের মধ্যে মোঃ আবু মুসা (৩৫), পিতা-মৃত দুলাল মুন্সী, মাতা-নাছিমা বেগম, সাং-সিংগুলা (মুন্সী বাড়ী), ইলিয়টগঞ্জ (উত্তর) ইউপি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লার একজন, যিনি নিজেকে ‘ক্রাইম বার্তা’র সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
ঘটনার পর ভিকটিমের পিতা জাহিদ ওই আটক আসামী আবু মুসা ও ডাকাতি মামলার আসামী আব্দুল গাফফারসহ অন্যান্য আসামিদের ভিকটিমকে অপহরণ করে মুসার বাড়িতে আটক রেখে মারধর করে, মুক্তিপণ দাবি করে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এর পর ভিকটিমের পিতার এজাহারের ভিত্তিতে তিতাস থানায় মামলা নং-১৭, তারিখ-২৬/০৫/২০২৫ ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩৬৫/৩৮৫/৫০৬/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। ধৃত আসামীদের যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, “বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’ অনলাইন পেইজ থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসত্য তথ্য ছড়ানো খুবই দুঃখজনক। অনলাইন পেইজ থেকে প্রেরিত ওই পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এদিকে, ‘কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’ অনলাইন পেইজ থেকে প্রকাশিত ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিতাসের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। পোস্টের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেটিজেনরা ওই পেইজটিকে ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং কর্মরত ‘সাংবাদিক’ আবু মুসাকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। পরিশেষে, এসব অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
একুশে সংবাদ / কু.প্র/এ.জে