শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে ছুরতন নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাতকুচি নামাপাড়া পুরনো ফরেস্ট অফিস এলাকার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ২টার দিকে খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির একটি দল লোকালয়ে হানা দেয়। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় বৃদ্ধা ছুরতন নেছার ঘরে ঢুকে একটি হাতি তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ঘর থেকে বের করে আঙিনায় এনে পায়ে পিষ্ট করে হত্যা করে। নিহত ছুরতন নেছা ওই এলাকার মৃত রঙ্গু শেখের স্ত্রী।
বন বিভাগ জানায়, এর আগেও ওই বৃদ্ধার বসতবাড়ি বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল।
এদিকে, বুধবার (২৮ মে) রাতে মধুটিলা ইকোপার্কে বন্যহাতির দল হানা দিয়ে একটি ক্যান্টিন বিধ্বস্ত করে এবং ভেতরে রাখা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ও কোমল পানীয় খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে।
এছাড়া, চলতি মাসের ২০ মে রাতে ঝিনাইগাতীর বড় গজনী ও দরবেশতলা এলাকায় হাতির আক্রমণে আরও দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, “ঘটনার রাতে টানা বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল এবং জরুরি প্রতিরক্ষা দলের (ইআরটি) সদস্য ও বন বিভাগের কর্মীরাও ঘর থেকে বের হতে পারেননি। ফলে হাতির আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি।”
এ অঞ্চলে বন্যহাতির আক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এলাকাবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসনের দাবি—জলবায়ু ও বনভূমি পরিবর্তনের কারণে হাতির খাদ্য সংকট তীব্র হওয়ায় তারা বারবার লোকালয়ে চলে আসছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
একুশে সংবাদ / শে.প্র/এ.জে