চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় একই রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল বাড়ির সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর দুই ছেলে আতিয়ার রহমান (৪২) ও আনোয়ার হোসেনের (৫০) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার করেছে। দামুড়হুদা থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন ও আতিয়ার রহমান জানান, সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে ১০-১২ জনের একটি ডাকাতদল প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে আতিয়ার রহমানের ঘরে মুখোশ পরিহিত ৫-৬ জন প্রবেশ করে। তারা আতিয়ারসহ তার বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে। পরে আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতদল একই কায়দায় নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল, চেইন, আংটি নিয়ে বাড়ির মেইন গেট খুলে চলে যায়। ডাকাতদল দিই বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাড়ির প্রায় ৮০ গজ দূরে পিচ রাস্তার উপর থেকে ৩টি লাল স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় বোমা উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল), চুয়াডাঙ্গা ডিবি ওসি মশিউর রহমান, ওসি সাইবার ক্রাইম আনিছুর রহমান, এস আই মুহিত হাসান, এস আই রমেন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ৩টি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযানে কাজ করছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে