কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের টুকচাঁনপুর চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে লুন্দিয়া চরপাড়া মেঘনা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো জহির মিয়া সন্ধ্যায় তাঁর দোকান বন্ধ করে চলে যান। কিন্তু ভুলক্রমে তিনি গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যান। দোকান বন্ধ অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতসারে আগুনের উৎস থেকে দোকানে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তেই আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দোকানের সামনে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ হন। এতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং দগ্ধদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। গুরুতর অবস্থায় ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধ ব্যক্তিদের তালিকা: হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫৫), নাছির মিয়া (৪০)।
এদের মধ্যে হারুনের শরীরের প্রায় ৮০% দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম জানান,“দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে দেখি কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়ছে। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন,“১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। একজনের শরীর ৮০% এবং অন্যদের শরীর ২০–৩০% দগ্ধ হয়েছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

