AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চাঁদপুরে আখ ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দুশ্চিন্তায় কৃষকরা



চাঁদপুরে আখ ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পসহ সদর উপজেলায় এবারও আখের আবাদ বেড়েছে। তবে হঠাৎ করে মাজরা পোকার আক্রমণে চিন্তিত কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি সদর উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমিতে আখের আবাদ। বোরো ধান ও সবজির আবাদ শেষে অনেক কৃষক আখ আবাদ করেছেন। আবার অনেক কৃষক সাথি ফসল হিসেবে এসব এলাকায় আখের আবাদ করেন। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও ও লোহাগড়া গ্রামের অধিকাংশ কৃষক আখের আবাদ করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এ বছর জেলায় আখ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৩৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৬৭৭ হেক্টর। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার ৬০ টন। সদর, ফদিরগঞ্জ, হাইমচরসহ জেলার আট উপজেলায় কম-বেশি আখের আবাদ হয়। এর মধ্যে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য ‘চাঁদপুর গেন্ডারি’ আবাদের পরিমাণ বেশি।

ফরিদগঞ্জ মদনের গাঁও গ্রামের আখচাষি মো. কলন্দর খান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের অধিকাংশ কৃষক আখের আবাদ করেছে। তবে এ বছর গাছগুলো বড় হাওয়ার আগেই আখের মধ্যে মাজরা পোকা, সেমি পোকাসহ আরও নাম না জানা অনেক পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। বাজার থেকে আমরা যে কীটনাশক ব্যবহার করি, তা তেমন কোনো কাজ করে না।’

করিম খান আরও বলেন, ‘সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পাই না। সেমি পোকা আক্রমণ করে আখের মাঝখান দিয়ে ছিদ্র করে ফেলে। একসময় পুরো আখটাই নষ্ট হয়ে যায়।’

এসব কারণে অনেক কৃষক এখন চিন্তিত।

একই এলাকার আরেক কৃষক ছামাদ পাটওয়ারী বলেন, আগে আখে ছত্রাকজাতীয় রোগ ছিল। কিন্তু এবার একজাতীয় সাদা পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এই পোকার আক্রমণে পাতাগুলো সাদা হয় এবং মুচড়িয়ে চিকন হয়ে যায়।

আরেকটা হলো কালো পোকা। এই পোকাটা সরাসরি যায় আখের ভেতরে। আখগুলাকে নষ্ট করে। আরেকটা পোকা হলো এই পাতাগুলো সব খেয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। এই তিন জাতের পোকা এখন আখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে বলে জানান এই কৃষক।

সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সেকদী গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর মিজি বলেন, ‘পোকার জন্য আখের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসবের জন্য কৃষি বিভাগ তো কোনো ব্যবস্থাই নেয় না এবং কৃষি বিভাগের লোক দেখিও না।’

আখের জমিতে পোকার আক্রমণের বিষয়ে চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল হাসান বলেন, এবার আখে মাজরা পোকার আক্রমণটা একটু বেশি। তবে কী পরিমাণ জমিতে আক্রমণ, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দ্রুত কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠপর্যায়ে উপকৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে আরও তদারকি বাড়ানো হবে।

কৃষকদের অভিযোগ সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, কৃষি কর্মকর্তা খোঁজ নেন না বিষয়টি সঠিক নয়। একজন কৃষক ইউনিয়ন কিংবা উপজেলা কৃষি অফিসে গেলেও সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে

Link copied!