যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কোটচাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আন্দোলনের আহ্বায়ক হৃদয় আহসান জানান, “স্বাধীনতার পর যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সরকারি বাস চলাচল করত। কিন্তু গত ১০-১২ বছর ধরে কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “ফলস্বরূপ যশোর থেকে বাস চলতে থাকে জীবননগরের হাসাদহ পর্যন্ত, এবং চুয়াডাঙ্গা থেকেও একইভাবে। এতে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া, সময় ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমরা দুই মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করি এবং তারা সরাসরি বাস চালাতে সম্মতিও দেয়। কয়েকদিন চললেও আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই বাস চলাচল বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছি।”
যাত্রী ইউনুচ আলী বলেন, “আমি চুয়াডাঙ্গার লোক, যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পথে কোটচাঁদপুরে এসে আটকে যাই। জানতাম না বাস বন্ধ। পরে জানতে পারি সরাসরি বাস চালুর দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছে। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের স্বার্থে সাময়িক এই কষ্ট মেনে নিচ্ছি।”
আরেক যাত্রী বারবাজারের মুক্তা হোসেন বলেন, “আমি চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিলাম, কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় এখন খুব সমস্যায় আছি। আমি চাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।”
কোটচাঁদপুর বাস কাউন্টারের মাস্টার মাসুদ মিয়া বলেন, “বুধবারও তারা বাস চলাচল বন্ধ করেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখি কোনো বাস চলাচল করছে না। কয়েকটি বাস আগে বের হলেও পরে ফেরত চলে আসে।”
কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল যে তারা যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সরকারি বাস চালুর দাবিতে অবরোধ করছে। এখনো পর্যন্ত মালিক বা যাত্রীদের কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।”
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ ঝি.প্র /এ.জে