আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।এ দিনে আল্লাহ-তায়ালার সন্তুষ্টি কামনায় কোরবানি করা হবে লাখ লাখ পশু। উৎসবটিকে সামনে রেখে গবাদিপশু পালনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের খামারিরা।
কোনো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করেই দেশি পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজা করছেন বলে দাবি তাদের । ভারতীয় পশুর আমদানি না থাকায় গত কয়েক বছরে দেশের ভেতরের পশুর বাজার ভালো যাচ্ছে।
বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে খামারিদের রোগ-বালাইহীন পশুর কদরও থাকছে আলাদা।
রূপগঞ্জ উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন দুটি পৌরসভায় ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক খামারে পালিত হচ্ছে সাড়ে পাঁচ হাজার গরু। রূপগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে গরুর ফার্মে সরেজমিনে দেখা গেছে, নান্দনিক পরিবেশ পাকা ঘর, উপরে ঘুরছে ফ্যান ।
এবং খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের দেশি খাদ্য। সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার দুই শতাধিক খামারে এভাবেই আদর-যত্নে লালিত হচ্ছে গরু। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরুগুলো হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।
রূপগঞ্জ উপজেলার খামারিরা বলেন, কোনো অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে খড়, খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা খরচ একটু বেশি হলেও, পশু কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে থাকে না। কোনো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে গরু লালন পালন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস বলেন,আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গরুর খামারে সাড়ে ৫ হাজার গরু রয়েছে। আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একেবারেই প্রাকৃতিক ও নির্ভেজাল পদ্ধতিতে গরু লালনপালন করেছেন খামারিরা। এ ঈদে রূপগঞ্জে চাহিদা পূরণ করে পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ রাজধানীতে গরু সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরাও সার্বক্ষণিক এলাকার খামারিদের খোঁজ খবর রাখছি। গরু মোটা তাজাকরণের ক্ষেত্রে কোনো রকম ক্ষতিকারক ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছি খামারিদের। এছাড়া গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠেপর্যায়ে কাজ করছেন।
একুশে সংবাদ/ না.প্র/এ.জে